বাড়িআলোকিত টেকনাফকক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে নতুন পর্যটকবাহী জাহাজ

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিনে নতুন পর্যটকবাহী জাহাজ

যারা সমুদ্র ভ্রমণে যান, তাদের সবার আগে চাই বিলাসবহুল জাহাজ। এরই ধারাবাহিকতায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের যাত্রা আরামদায়ক করতে এবার কক্সবাজারে যুক্ত হচ্ছে নতুন একটি পর্যটকবাহী জাহাজ।

এতদিন দেশি-বিদেশি পর্যটকরা টেকনাফ থেকে পাঁচটি জাহাজে (কেয়ারি বে ক্রুজ এন্ড ডাইন, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এম ভি বে ক্রুজ-১, দ্যা আটলান্টিক ক্রু্‌, এম ভি ফারহান) করে সেন্টমার্টিন যেতেন। কিন্তু এখন থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণকে আরও আনন্দদায়ক করবে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে এই জাহাজের উদ্বোধন করবেন প্রধান অতিথি ও নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন- নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নৌ-সচিব এম এ সামাদ।

ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, নতুন এই জাহাজটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী শিপইয়ার্ডে বিআইডব্লিওটিসির উপকূলীয় জাহাজের বহরের লিজেন্ডারি নৌযান ‘এমভি আলাউদ্দিন আহমেদ’ নামে পরিচিত ছিল। যা বর্তমানে ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ নামে নতুনভাবে রূপান্তরিত হয়েছে। জাহাজটি পরিচালনা করবে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতায় থাকবে ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজম।

নৌযানটি আগে চট্টগ্রামের সদরঘাট থেকে হাতিয়ার নলচিরা হয়ে সন্দ্বীপে চলাচল করত। সম্প্রতি জাহাজটির মালিকানা কর্ণফুলী শিপইয়ার্ড অধিগ্রহণ করে। পরে ডিজাইন ফার্ম ‘এসএসটি মেরিন সল্যুশনের’ মাধ্যমে এর নকশা পরিবর্তন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেসকে’ নিজস্ব ডকইয়ার্ডে নতুনভাবে চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। পুরোপুরি প্রস্তুত নৌযানটি সার্ভিসে যাওয়ার আগে সি-ট্রায়ালের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই কর্ণফুলী নদী থেকে পতেঙ্গার সমুদ্র মোহনা পর্যন্ত ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে।

প্রায় ৫৫ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার প্রশস্ত এই নৌযানে দুটি মেইন প্রাপালেশন ইঞ্জিন রয়েছে। আমেরিকার বিখ্যাত কামিন্স ব্র্যান্ডের এসব ইঞ্জিনের একেকটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি। এছাড়া জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে।

নতুন এই জাহাজে ১৭টি ভিআইপি কেবিন ছাড়াও ৩ ক্যাটাগরির প্রায় ৫০০ আসন রয়েছে। রয়েছে কনফারেন্স রুম, ডাইনিং স্পেস এবং সি-ভিউ ব্যালকনিও।

উদ্বোধনের পরই জাহাজটির ভাড়ার তালিকা ও সময়সূচি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর।

এ দিকে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজে করে যাওয়া যাবে- এমন সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই পর্যটকদের মনে আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। তারা মনে করেছেন, নতুন এই জাহাজটি চালু হলে কম খরচে ও সহজেই সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে। অপরদিকে গভীরভাবে ভ্রমণযাত্রাকে উপভোগ করাও যাবে।

উল্লেখ্য, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের দূরত্ব প্রায় ৪২ কিলোমিটার। আবার কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরের সাগর বক্ষের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ সেন্টমার্টিন। পাহাড় ও সমুদ্র বরাবরই পর্যটকদের টানে। ফলে নতুন এই পর্যটকবাহী জাহাজের সফলতা নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

Most Popular

Recent Comments