শাহজাহান চৌধুরী শাহীনঃ-
কক্সবাজারে বিএমএম ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরিতে নিয়োগ পরীক্ষার নামে প্রতারণার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল রাস্তার মাথা সংলগ্ন শহীদ টিতুমির ইনস্টিটিউটের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় পরীক্ষার খাতা, প্রশ্নপত্রসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- কথিত প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এস এম মাসুম বিল্লাহ, ফিন্যান্স অফিসার শাহাদাত হোসেন খান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জালাল উদ্দিন ও মোহাম্মদ ইউনুস। এই প্রতিষ্টানটির ঠিকানা দেয়া হয় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বিএমএম ফাউন্ডেশনের কর্তারা পরীক্ষা নিতে গেলেও স্বপক্ষে কোন ডকুমেন্টস দেখাতে পারেনি। বরং পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে উত্তরপত্র পৌঁছে গেছে। যা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে পরীক্ষার্থীরা।
৪ প্রতারককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পাশে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা ভুয়া ভুয়া বলে শ্লোগান দিতে থাকে ।
জানা গেছে, বিএমএম ফাউন্ডেশনে তিনটি পদে ১৪ জনকে চাকুরি দেয়ার কথা। কিন্তু তিন পদের বিপরীতে প্রায় ১২০০ জন আবেদন করেন এবং সবাই পরীক্ষায় অংশ নেন। এসএমএস এর মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান জানিয়ে দেয়া হয় পূর্বেই। তবে, শুক্রবার সকাল ১০ টায় নির্ধারিত কেন্দ্রে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা শুরুর আগে প্রত্যেক জন থেকে ৩০০ টাকা করে রেজিস্ট্রেশন ফি দাবি করে আয়োজকরা।
অথচ পরীক্ষার আগে কোন আবেদনকারীকে টাকার বিষয়ে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়াদের। মূলতঃ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ফুঁসে ওঠে পরীক্ষার্থীরা। এরপর পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে আটক রাখা হয় আয়োজকদের। বাইরে প্রতিবাদ ও স্লোগানে মুখরিত করে তোলে শত শত শিক্ষার্থী ও বেকার যুবক।
রাঙামাটি থেক বিধান চাকমা, ম্যানশন চাকমা, ইচ্ছে চাকমা, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে রেজাউল করিম, সদরের পিএমখালী থেকে ফয়সাল মাহমুদ, রফিক বিন সাঈদ, রিদুয়ানের মতো অন্তত এক হাজার বেকার যু্বক পরীক্ষা দিতে আসেন। যারা চাকুরির জন্য এখানে এসে হলেন প্রতারিত।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোঃ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার পিপিএম জানান, চাকুরিতে নিয়োগ পরীক্ষা নামে প্রতারণার অভিযোগে চারজনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে পরীক্ষা সরঞ্জামাদি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।