বাড়িকক্সবাজারকক্সবাজার সদর ও চকরিয়াতেই ১০০ ছাড়াল করোনাক্রান্ত, জেলায় শনাক্ত ১৭১

কক্সবাজার সদর ও চকরিয়াতেই ১০০ ছাড়াল করোনাক্রান্ত, জেলায় শনাক্ত ১৭১

[WD_Button id=20227]

কক্সবাজার জেলায় এবার একদিনে সর্বাধিক ২৩ জন করোনা ‘পজিটিভ’ রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৬ মে) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৪ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এদের মধ্যে কক্সবাজার জেলার ২৩ জন ছাড়াও বান্দরবানের লামা উপজেলার একজন ও আরেকজন রামু উপজেলার ‘ফলোআপ’ রোগী আছেন। জেলার ২৩ জনের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীও রয়েছেন।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ ও রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অনুপম বড়ুয়া কক্সাজার ভিশন ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তাঁর দেয়া তথ্য মতে, শনিবার নতুন শনাক্ত হওয়া ২৪ জন করোনা রোগীর মধ্যে কক্সবাজার সদরে ৬ জন, রোহিঙ্গা শরণার্থী একজন, চকরিয়া উপজেলার ৮ জন, উখিয়া উপজেলার ৭ জন ও পেকুয়া উপজেলার একজন এবং বান্দরবানের লামা উপজেলার একজন রয়েছেন।

অদেখা শক্রু করোনাভাইরাস কক্সবাজার জেলার চকরিয়া ও সদর উপজেলায় তার ক্ষমতা দেখিয়ে চলেছে। শনিবারও এই দুই উপজেলায় ১৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

তবে শনিবারের নমুনা টেষ্টে ১৮৪ জন রোগীর মধ্যে ১৫৯ জনের রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে।

সুত্র মতে,  টানা দুইদিন পার্বত্য বান্দরবান জেলা ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগড়া উপজেলায় নতুন করে করোনা পজিটিভ কোন রোগী পাওয়া না গেলেও শনিবার বান্দরবানের লামা উপজেলায় একজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

টানা ৪৬ দিনে কক্সবাজার জেলায় ১৭০ জন (রোহিঙ্গা ছাড়া) ও বান্দরবান জেলায় ১১ জন এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগড়া উপজেলায় ৭ জন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা শিবিরে শনাক্ত হয়েছে ৪ জন। এখানে গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা শিবিরে শনাক্ত হওয়া দুইজন রোগীর মধ্যে একজন ছিল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং শুক্রবার শনাক্ত হওয়া ৩ জনের মধ্যে একজন উখিয়া উপজেলার বাসিন্দা ও এনজিও কর্মী। সেই হিসেবে রোহিঙ্গা শিবিরে বৃহস্পতিবার একজন ও শুক্রবার দুইজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে সেই সংখ্যা ৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

অপরদিকে ভুল পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে করোনার নমুনা জমা দিয়ে ‘পজিটিভ’ আসা অঙ্কিত মোহন বড়ুয়াকে বান্দরবান জেলার হিসাবে যুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার শনাক্ত হওয়া রোহিঙ্গা শিবিরের নমুনায় বেসরকারি সংস্থা ‘ইপসা’র একজন ফিল্ড ফ্যাসিলেটরকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় যুক্ত করা হয়েছে।

ইতোপূর্বে ঢাকায় আইইডিসিআর ল্যাবে শনাক্ত হওয়া কক্সবাজারের প্রথম করোনা রোগী মুসলিমা খাতুনসহ কক্সবাজার জেলায় এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ১৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।

কক্সবাজার ল্যাবে শনিবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৩০ জন সন্দেহভাজন রোগীর ‘কোভিড ১৯’ পরীক্ষা করা হয়েছে।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ক্লিনিক্যাল ট্রপিক্যাল মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান নাজির ও কলেজের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা. রূপেশ পালও কক্সবাজার ভিশন ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

এদিকে ডা. শাহজাহান নাজির কক্সবাজার ভিশন ডটকমকে জানান, কক্সবাজার জেলায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া করোনা রোগীর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৪১ জন, রামু উপজেলায় ৪ জন, চকরিয়া উপজেলায় ৬১ জন (প্রথম রোগীসহ), মহেশখালী উপজেলায় ১২ জন, উখিয়া উপজেলায় ২১ জন, টেকনাফ উপজেলায় ৯ জন, পেকুয়া উপজেলায় ২০ জন ও কুতুবদিয়া উপজেলায় দুইজন রয়েছেন। এছাড়াও রোহিঙ্গা শনাক্ত হয়েছে চারজন।

তবে কুতুবদিয়া উপজেলার নামে ইতোপূর্বে একজন রোগী থাকলেও তিনি নমুনা পরীক্ষা করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মাধ্যমে। যিনি কক্সবাজার শহরের পূর্ব কুতুবদিয়া পাড়া এলাকায় বসবাস করেন। সেই হিসেবে কুতুবদিয়া ‍উপজেলায় এখন করোনা রোগী মাত্র একজন, যিনি শুক্রবার শনাক্ত হয়েছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments