বাড়িঈদগাঁওভুতুড়ে বিল আর গ্রাহক হয়রানির যত অভিযোগ ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের...

ভুতুড়ে বিল আর গ্রাহক হয়রানির যত অভিযোগ ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের বিরুদ্ধে

ফয়সাল আজিম
আলোকিত টেকনাফ ডটকম

শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ এ শ্লোগান কে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উদ্যোগে পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আর সে বিদ্যুৎ নিয়েই যত হয়রানির শিকার কক্সবাজারের বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসি।

প্রতিদিন অফিসের সামনে ভুক্তভোগীরা সুদীর্ঘ লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে কোনো সুরাহা পাচ্ছে না অফিসের বেখেয়ালি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমনটা অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রাহকদের।

নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার যখন বারবার সতর্কতা অবলম্বন করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে বলছেন সেখানে ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের অনিয়ম আর অবহেলার কারণে প্রতিদিন গ্রাহকদের ধরনা দিতে হচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। যদি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে তার দায়ভার কে নেবে দাবী সচেতন মহলের।

দেশে ডিজিটালের ছোঁয়া লাগলেও ছোঁয়া লাগেনি ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে। সরকার ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিকাশ কিংবা বিভিন্ন তর্থ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার সুযোগ করে দিলে কিছু কিছু গ্রাহক সে সুবিধা নিচ্ছেন কিন্তু সেটাই এখন হয়রানির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বেখেয়ালি কর্মকর্তাদের কারণে। চেক না করে সে বিলগুলো আবার পরবর্তী মাসে বকেয়া হিসেবে তোলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী গ্রাহকের।

এমনি একজন ভুক্তভোগী ফরিদ বলেন আমি গত ফেব্রুয়ারী মাসের বিল বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করেছি। মার্চে আমার বিল বকেয়া ছিল এপ্রিল মাসের বিলের কপি দেয়নি। মে মাসে এসে ফেব্রুয়ারী মাস সহ আমাকে বকেয়া বিলে তোলে দেওয়া হয়। তখন ধরনা দিতে হয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কিন্তু অফিস কর্মকর্তাদের সাথে কাছে গিয়ে অভিযোগটা বুঝিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাইনি। জানালা দিয়ে কয়েক জনের বিলের কপি নিয়ে যায় আবার কিছুক্ষণ পর নাম ডেকে ডেকে দিয়ে দেয় কিন্তু আমার বিলের কপি সংশোধন না করে ঐ আগের বিল করে আবার ফেরত দেয় আমি পূনরায় পাঠাই এভাবে চারবার জমা দেওয়ার পর ঐ কর্মকর্তার সাথে যখন কথা বলার সুযোগ পাই তখন বুঝিয়ে বল্লে পরে সংশোধন করে দেয়।

আরেক ভুক্তভোগী জানান আমার প্রত্যেক মাসে বিল আসে ৪০০ কিংবা ৫০০ টাকা কিন্তু হঠাৎ এই মাসে বিল আসে ৬ হাজার টাকা সংশোধন করতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেছি একটু ভালো করেও কথা বলে না তারা এমনটি অভিযোগ গ্রাহকের।

আরেক ভুক্তভোগী কামাল হোসেন জানান আমার মিটারে বর্তমানের চেয়ে ২০০ ইউনিট বেশি লিখে বিলের কপি দেওয়া হয়েছে সংশোধনের জন্য সব কাজ ফেলে অফিসে গিয়ে সংশোধন করে আনতে হয়েছে। তিনি আরো জানান আমার তিনটা দোকানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেখে অফিসে যেতে হয়েছে। আমরা এই হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে চাই ভুক্তভোগী কামাল হোসেনের আকুতি।

এব্যাপারে ঈদগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের ডিজিএম শহিদুল ইসলামের সাথে মোটোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments