বাড়িআলোকিত টেকনাফরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ বললেন না পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর দিনক্ষণ বললেন না পররাষ্ট্র সচিব

ডেস্ক নিউজঃ- 

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন এ মাসেই শুরুর খবর এলেও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ জানাতে রাজি হননি।

RELATED STORIES
মিন্নির জামিন হল না, আবেদন ফেরত নিলেন আইনজীবী

রাজধানীতে রোববার এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিষয়টি (প্রত্যাবাসন) এখনও আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যেকোনো সময় শুরু হবে।”

তবে সম্প্রতি রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে আগামী ২২ অগাস্ট রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর যে খবর এসেছে, সেই দিনটিকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নূরুল আলম নেজামী।

রোববার দুপুরে কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

দুই বছর আগে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আগে থেকে ছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা।

এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরাতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তিও হয়েছে, যার আলোকে গত বছর নভেম্বরে প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতিও নিয়েছিল বাংলাদেশ।

মো. শহীদুল হক (ফাইল ছবি) মো. শহীদুল হক (ফাইল ছবি) কিন্তু মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে রোহিঙ্গাদের মনে আস্থা না ফেরায় এবং তারা কেউ ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় সেই পরিকল্পনা ঝুলে যায়।
সম্প্রতি মিয়ানমারের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী ২২ অগাস্ট প্রায় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নেওয়ার দিন ঠিক হয়েছে।

গত মাসে দুই দেশের প্রতিনিধি দলের বৈঠকে প্রত্যাবাসন চুক্তির অংশ হিসেবে যাচাই বাছাইয়ের জন্য মিয়ানমারের হাতে যে ২৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা বাংলাদেশ দিয়েছিল সেখান থেকেই ৩ হাজার ৫৪০ জনকে নেওয়ার বিষয়ে ছাড়পত্র মেলার কথা জানিয়েছিলেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিন্ট থু।

পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, “আগামী কয়েক সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব।

“তাদের কল্যাণেই এটা করা হবে। যদি তারা ফিরে না যায়, তাহলে তারা শুধু ভূমির অধিকারই নয়, সব ধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।”

প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে রোববার জরুরি বৈঠক হয়েছে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ে।

বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার নূরুল আলম নেজামী বলেন, “২২ অগাস্ট প্রত্যাবাসন নিয়ে আমরা ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শেষ করেছি।

“এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়তো এ কার্যক্রম আরও বাড়ানো হব।”

প্রত্যাবাসন কিভাবে হবে, কোন দিক দিয়ে যাবে, কিভাবে যাবে সেসব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রোহিঙ্গা তাদের নিজভূমে ফিরতে আগ্রহী কিনা তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান নূরুল আলম নেজামী।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, অতিরিক্ত আরআরসি শামসুদ্দৌজা নয়ন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম সরওয়াল কামালসহ সেনাবাহিনী ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments