বাড়িআলোকিত টেকনাফসতর্ক সংকেত থাকার পরও সেন্টমার্টিন গেলো পর্যটকবাহী জাহাজ

সতর্ক সংকেত থাকার পরও সেন্টমার্টিন গেলো পর্যটকবাহী জাহাজ

ডেস্ক নিউজঃ-

তিন নাম্বার সতর্ক সংকত থাকার পরও কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পর্যটক নিয়ে চারটি জাহাজ সেন্টমার্টিন গেছে। দ্বীপে আটকে পড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে আনার জন্য খালি জাহাজ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে টেকনাফ থেকে পর্যটক নিয়ে যাওয়ার কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে গিয়ে আটকে পড়া প্রায় দেড় হাজার পর্যটককে ফিরিয়ে আনার জন্য বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২টার পর চারটি খালি জাহাজকে দ্বীপে যেতে অনুমতি দেন জেলা প্রশাসক। অনুমতি নিয়ে দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলকারী এমভি আটলান্টিক ক্রুজ, বে-ক্রুজ, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এলসিটি কাজল সেন্টমার্টিন উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় জাহাজ চারটি যাত্রী নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন জানায়, সতর্ক সংকেত থাকার পরও কোনও জাহাজ দ্বীপে যাওয়ার সময় যাত্রী নিয়ে গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের কারণে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সমুদ্রবন্দরসমূহে সব ধরনের নৌযান বন্ধ রাখতে বলেছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আবহাওয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘তিন নাম্বার সতর্কতা সংকেত থাকা অবস্থায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বিপজ্জনক। এই রুটে কোনও জাহাজ চলাচল করলে যেকোনও মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’

পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, ‘স্থানীয় প্রশাসনের কথামতে দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের ফেরত আনার জন্য জাহাজ সেন্টমার্টিনে পাঠানো হয়েছে। সেখানে যাওয়ার সময় কোনও যাত্রী বহন করা হয়নি।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘তিন নাম্বার সর্তক সংকেত থাকায় ও দুঘর্টনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমাটিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও কীভাবে পর্যটক নিয়ে চারটি জাহাজ সেন্টমার্টিন গেলো বিষয়টি রহস্যজনক। প্রাথমিকভাবে শুনেছি জাহাজগুলো স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতিসাপক্ষে দ্বীপে গেছে। তবে বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ’

সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, ‘দ্বীপে আটকা পড়া দেড় হাজার পর্যটককে ফেরত আনতে জাহাজগুলো সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে। এসব জাহাজে পর্যটক রয়েছে, তবে অন্যদিনের তুলনায় কম।’

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া শিক্ষার্থীসহ সব পর্যটকদের ফেরত আনার জন্য টেকনাফ থেকে খালি জাহাজ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও জাহাজ যাওয়ার সময় যাত্রী বহন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও কাল (শুক্রবার) এই রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকতে পারে।’

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments