বাড়িকক্সবাজারসমগ্র কক্সবাজারকে তিন জোনে বিভক্ত

সমগ্র কক্সবাজারকে তিন জোনে বিভক্ত

বিশেষ প্রতিবেদক
আলোকিত টেকনাফ ডটকম

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার পৌর এলাকাসহ জেলার করোনা সংক্রমিত এলাকাকে ম্যাপিং করে ‘রেড জোনে’ বিভক্ত করা হয়েছে। শুধুমাত্র কক্সবাজার পৌর এলাকাকেই ১২টি জোনে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে পৌরসভার ১০টি ওয়ার্ডই ‘রেড জোনে’ পড়েছে। এই রেড জোনে প্রাথমিক ভাবে আগামি দুই সপ্তাহ কঠোর লকডাউনে থাকবে। প্রয়োজনে সেই লকডাউন আরও দুই সপ্তাহ বাড়বে।

সুত্র মতে, ‘রেড জোন’ চিহ্নিত এলাকায় বাইরের কোন লোক ঢুকতে পারবে না। ওই সব এলাকার কোন লোক বাইরে যেতে পারবে না। সুত্রের দাবি, ওই সব এলাকায় লকডাউন চলাকালে প্রয়োজনে গরীব, অসহায়, দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষকে সরকারি ভাবে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের একাধিক সুত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোঃ কামাল হোসেনও সংবাদমাধ্যমে এমনতর তথ্য দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসকের মতে, শুধুমাত্র জরুরি কাজে থাকা ব্যক্তিরা ‘রেড জোনে’ সীমিত আকারে আসা যাওয়া করতে পারবেন।

করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এমন কঠোর অবস্থান নেয়া হচ্ছে বলেও মনে করছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসন সুত্র মতে, আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুন) এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সুত্র মতে, কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র এক নাম্বার ও ১২ নাম্বার ওয়ার্ডকে ‘ইয়োলো জোন’ এবং অবশিষ্ট ২ নাম্বার ওয়ার্ড থেকে ১১ নাম্বার ওয়ার্ড, মোট ১০টি ওয়ার্ডকে অতিমাত্রায় করোনা সংক্রমণ এলাকা হিসেবে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সুত্র জানিয়েছেন, পৌর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কমিটি থাকবে। কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলরগণ কমিটির প্রধান হবেন। প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে যুবক, ছাত্র, সমাজকর্মী নিয়ে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা হবে। কমিটিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট, সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা করবে।

কী হবে ‘ইয়েলো’ জোনে
কক্সবাজার পৌরসভার যে দুইটি ওয়ার্ডকে ‘ইয়েলো জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ওই দু’টি এলাকায় করোনা সংক্রমণ এখনও সহনীয় মাত্রায় আছে। তাই ওই দুই ওয়ার্ডে সবকিছু সীমিত আকারে চলবে, তবে সবার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে অন্যান্য নির্দেশনা মানতে বাধ্য করা হবে অধিবাসীদের।

তবে কক্সবাজার পৌর এলাকার কোন জোনকে গ্রীণ জোন হিসেবে রাখা হয়নি। অবশিষ্ট ১০টি ওয়ার্ডই রেড জোনের আওতায় পড়েছে।

কী হবে ‘রেড’ জোনে
কক্সবাজার পৌরসভার যে ১০টি ওয়ার্ডকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সে সব এলাকায় কঠোর ভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। ওই সব এলাকার মানুষ এলাকার বাইরে যেতে পারবেন না, বাইরের কেউ ওই সব এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবকিছুই লকডাউন থাকবে। আইন শৃংখলা বাহিনী এখানে কঠোরতা দেখাবে।

জেলাজুড়ে ৩ জোন
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় কক্সবাজার জেলাকে ৩টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ এই জোন ম্যাপিংয়ের দায়িত্ব পালন করছেন। জেলার ৮টি উপজেলায় ইউনিয়নভিত্তিক ও চারটি পৌর এলাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক ম্যাপিং করে ৩টি কালারে বিভক্ত করে এই জোন গঠন করা হয়েছে। এই জোন গুলো হলো রেড বা লাল, ইয়েলো বা হলুদ এবং গ্রীণ বা সবুজ।

রেড জোন
জেলার যে সব এলাকায় করোনাভাইরাস বেশি পরিমাণে সংক্রমিত হয়েছে সে সব এলাকা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইয়েলো জোন
জেলার যে সব এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মাঝারি পর্যায়ে আছে সে সব এলাকা ইয়েলো জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গ্রীণ জোন
জেলার যে সব এলাকা এখনও করোনাভাইরাসের গ্রাস থেকে মুক্ত আছে সে সব এলাকাকে গ্রীণ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments