কক্সবাজারের টেকনাফে বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুই হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ হোসনে আরা (৩৭) নামের এক চিহ্নিত নারী ইয়াবা কারবারিকে কে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর (ডিএনসি) এর টেকনাফ বিশেষ জোন।
সে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকার আনোয়ারের মেয়ে এবং টেকনাফ পৌরসভা শ্রমিক লীগের আহবায়ক জিয়াউর রহমান জিয়ার আপন বড় বোন।
রোববার (০৯ অক্টোবর) সকালে টেকনাফ পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লান পাড়ার নিজ বাড়ি হতে তাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে টেকনাফ ডিএনসি’র বিশেষ জোনের ইন্সপেক্টর বিদ্যুৎ বিহারী নাথ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোসনে আরা’র বাড়িতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জিয়াউর রহমানের বোন ও ওসমান গনি’র স্ত্রী কে আটক করা হয়। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার স্বীকারোক্তি মতে সাক্ষীগণের এর সামনে বসতঘরের পশ্চিম পাশে মিটসেফের ভিতর উপর পাশে রক্ষিত একটি প্লাস্টিকের বয়ামে ১০ টি নীল রংয়ের পলিপ্যাকের ভিতর দুই হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের পর তাকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবাসহ নারী মাদক কারবারি জিয়াউর রহমানের বোন হোসনে আরা কে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান।
এদিকে, আটক হোসনে আরা ও তার ভাই টেকনাফ পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি জিয়াউর রহমানের ছত্র ছায়ায় দ্বীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবার চালিয়ে আসছিলো এবং জিয়াউর রহমানের সহযোগীতায় কক্সবাজার টেকনাফের বিভিন্ন মিনিবাস পরিবহন সার্ভিস, দূরপাল্লার বাস ইত্যাদি যানবাহন দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে বলে দাবী স্থানীয়দের।
গেল (১৮ মে ) ২০২২ ইং তারিখে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়া এলাকার শাহাজানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবা সহ টেকনাফ পৌরসভা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক জিয়াউর রহমানের আপন ভাই কে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর (ডিএনসি) টেকনাফ বিশেষ জোনের সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তারা দুই ভাই এক বোন মিলে দীর্ঘ দিন ধরে শ্রমিকলীগ নেতা জিয়া’র নেতৃত্বে এ মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মূল হোতা জিয়া’র আটক দুই ভাই -বোন কে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এই শ্রমিক লীগ নেতা জিয়াউর রহমানের ইয়াবা পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য যে, এই মাদক ব্যবসা সুদৃঢ় করতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কিছু দিন আগে টেকনাফ পৌর শ্রমিক লীগের আহবায়ক কমিটি নিয়ে আসে যার মধ্যে অধিকাংশ নেতা মাদক কারবারি বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা তিনি জানান, সে যদি ইয়াবা ব্যবস্যার সাথে জড়িত তাকে তার অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না, তার বিরুদ্ধে যদি ইযাবা ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া যায় সাংগঠনিক ব্যবস্যা নেওয়া হবে। তবে আমারা বিষয়টি তদন্ত করতেছি। কমিটির দেওয়া নিয়ে আমরা কোন একটা টাকা নেয়নি।