।।শাহজাহান চৌধুরী শাহীন।।
নির্বাচন কমিশন থেকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল যদিও এখনো ঘোষণা করেনি। কিন্তু আগামী মার্চে দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- কমিশনের এমন ইঙ্গিতের পর থেকেই কক্সবাজারেরসীমান্ত উপজেলা টেকনাফে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। টেকনাফ উপজেলার শাহ্পরীরদ্বীপ সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সোনালীকে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার দাবিতে তাদের সমর্থকরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা। তবে বসে নেই এই প্রার্থী, মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে,আলহাজ্ব সোনালীর রয়েছে যতেষ্ট ব্যক্তিগত ইমেজ, দলের জন্য ত্যাগী , শিক্ষিত ও ভদ্র এবং ক্লিন ইমেইজের রাজনীতিবিদ। কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ঐতিহ্যবাহি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আলহাজ্ব সোনালী। তার বাবার নাম হাজি উলা মিয়া। মধ্যপ্রাচ্য বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন আলহাজ্ব সোনালী। বর্তমান শাহ পরীদ্বীপ সাংগঠনিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী সদস্য।
এছাড়া তিনি মধ্য প্রাচ্যে অবস্থানকালীন সময় বিভিন্ন পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে সাবেক হজ ওয়েল ফেয়ারের সভাপতি, মধ্যপ্রাচ্যের সাবেক বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জেদ্দা শাখার সাবেক প্রভাবশালী নেতা।এছাড়াও মধ্য প্রাচ্যে বাংলা স্কুল কিলো আরবাস শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি।সৌদি আরবে অবস্থানকালী আলহাজ্ব সোনালীর নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক বার সৌদি আরবে গণ সংবর্ধণা দেয়া হয়।কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা সৌদি আরব গেলেই আলহাজ্ব সোনালী তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের দেখভাল করতেন। এধরনের নজীর অসংখ্য রয়েছে।
সাবেক নারিকেল জিনজিরার এই নেতার গায়ে ছাত্রজীবন থেকে থাকেন মুজিব কোট। তৃণমূল উঠে আসা এই আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক নারিকেল জিনজিরার ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন।বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স পাঠিয়ে ৪ বার পুরস্কার পাওয়া এবং সিআইপি মর্যাদা পাওয়া দোবাই প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসমাঈলের বড় ভাই তিনি।এবার টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হবেন প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা সোনালী।
দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব শুভাগমন উপলক্ষ্যে দেয়া সংবর্ধনা কালে আলহাজ্ব সোনালী। (ছবি-সংগৃহিত)।
আলহাজ্ব সোনালীর মতো এমন ব্যক্তিকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান হলে উপকৃত হবে পুরো টেকনাফ উপজেলাবাসী। আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা জানান, টেকনাফকে সুন্দরভাবে সাজানো ও উন্নয়নের জন্য মনের মতো এমপি পেয়েছি। তেমনি একজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকেও বেচে নিতে চান তারা। সেদিক থেকে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সোনালীর কথা উল্লেখ করেন ওই নেতারা।
শাহপরীর দ্বীপ, সাবরাং ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রবীন এই নেতা আওয়ামী লীগের জন্য ত্যাগী। তাকে কাছে থেকে চিনি আমরা। তিনি উপজেলা পরিষদে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারলে জনগণ তাকে ভোট দিবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। ক্লিন ইমেজ থাকায় তিনি একমাত্র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য যোগ্য ব্যক্তি বলে মনে করেন তারা। আরো জানা গেছে, গত বার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হবার পরও স্থানীয় এমপির ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি জয়ের মালা পড়তে পারেনি বলে এলাকাবাসির মুখে মুখে।এই কথা আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব সোনালী নিজেই স্বীকার কাছেন।তাকে হারালেও তিনি হারমানেনি। ঝরে পড়েননি রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে।মানুষের সেবার করার মহান ব্রত নিয়ে, মুজিবিয় আর্দশ বুকে ধারন করে তিনি ছুটে চলেছেন নিরন্তর।
তার ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীকে জিতিয়ে দিলেও বিভিন্ন কারণে এলাকার উন্নয়নে তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি এখনো। তাই এবার এলাকার উন্নয়নে ও হারানো জনপ্রতিনিধির পদ উদ্ধারে আওয়ামী লীগ নেতা সোনালীকে দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দাবি উঠেছে।
তিনি একজন দানবীর। তার দানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। গরীবের বন্ধু সোনালী একজন স্বজ্জন ব্যক্তি হিসেবে এলাকার উন্নয়নে দলেও উন্নয়নে এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করতে সমর্থক ও দলীয় নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়ে মাঠে কাজ করতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য আলহাজ্ব সোনালী বলেন, দল মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না, ইনশে আল্লাহ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করছি। এতে এলাকাবাসী ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে। দলের নীতিনির্ধারকরা যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে বিপুল ভোটে আমি জয়লাভ করবো।
তিনি আরো বলেন, এলাকার অগ্রগতিতে আমি কাজ করে যাচ্ছি। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উন্নয়নে নতুন নতুন মাত্রা যোগ হবে।টেকনাফকে মাদকমুক্ত করা সহ সংগঠনকে শক্তিশালী ও এলাকার উন্নয়নে তরুণ যুবকদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
আলহাজ্ব সোনালী আরো বলেন, দীর্ঘ সময় ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম। হামলা, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ। তবে সংসদ নির্বাচনের পর টেকনাফ উপজেলায় কে পাচ্ছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীক, এ জিজ্ঞাসা এখন পুরো টেকনাফ উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারণের।